শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

ভোট উৎসবমুখর করতে চলছে প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে এবার ভোটারদের মধ্যে খুব একটা শোরগোল দেখা যাচ্ছে না। বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আসা এর বড় কারণ। গত নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটাররা বলছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল। এবার প্রার্থী কমেছে, ফলে ভোট প্রদানকারীর সংখ্যাও কমার সম্ভাবনা আছে। তাই ভোটকে উৎসবমুখর করতে চলছে নানা প্রস্তুতি। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে এ নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণ বাড়ুক। ভোটাররা যেন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করেন, সেজন্য দলীয়ভাবে কাউকে প্রকাশ্য সমর্থন দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। ফলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের টার্গেট সিটি নির্বাচন উৎসবমুখর করা। ২০১৮ সালে পঞ্চমবারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি মনোনীতসহ মোট মেয়র প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। ৩ লাখ ১৮ হাজার ভোটের মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ব্যালট ও ইভিএম দুই মিলিয়ে সেবার ভোট পড়েছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ। এবার সব কেন্দ্রেই ভোট হবে ইভিএমে। ফলে শঙ্কা থাকছে ভোট দ্রুত হওয়া নিয়ে। নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী বলেন, সব কেন্দ্রে ইভিএমে প্রথমবার সিটি ভোট হচ্ছে। নাগরিকদের অনেকে মেশিন সম্পর্কে জানেন না। বয়স্ক ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এ ছাড়া ইভিএমে ভোট ধীরে হয়। ভোট পড়ার হার কমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন তিনি। তাই দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। আওয়ামী লীগ একটা উৎসবমুখর ভোট প্রত্যাশা করছে বলে জানান তিনি। সিটি নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায় ভোটারের মধ্যে এবার কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। তারা মনে করেন সবার অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন উৎসবমুখর হয় না। ব্যালট কিংবা ইভিএম- যেভাবেই হোক না কেন, নির্বাচন যেন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেই চাওয়া থাকছে নতুন ভোটারদের।

টার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোট গ্রহণের কয়েক দিন আগে মব ভোটিং করা হবে। ইভিএম সম্পর্কে নাগরিকদের ধারণা দেওয়া হবে। ভোট উৎসবমুখর হবে বলেই মনে করছেন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে হয়তো ভোটার কিছুটা বাড়ত। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি না আসায় কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলররা নিজ প্রয়োজনে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। এখন মেয়র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সেই ভোটটা নিজের বাক্সে নিতে পারেন কি না।’ আসন্ন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে লড়তে প্রস্তুত আছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম ফারুকী।

সর্বশেষ খবর