পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মানবধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেছেন, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেটা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি। এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এটা কেউ ভাবেননি। পুলিশ শূন্য থানা। আবার অনেক থানা এরই মধ্যে তার কাঠামোও হারিয়ে ফেলেছে। এই সময়টিতে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকবে হবে। দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিজেদেরই তৈরি থাকতে হবে।’ দীর্ঘদিন বাংলাদেশের অন্যতম মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রধান হিসেবে এবং জাতীয় আইনি সহায়তা সংস্থায় কাজ করা এই মানবাধিকার কর্মী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সঙ্গে কথা বলার সময় আরও বলেন, পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। এ বাহিনীর সদস্যরা কারও দলদাস হয়ে থাকবে না। পিআরবি (পুলিশ প্রবিধান) তাকে যে ক্ষমতা দিয়েছে, কার্যপরিধি দিয়েছে, সে অনুসারেই তারা কাজ করবে। অবশ্যই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীর মতো নয়। তবে গত ১৫ বছরে পুলিশের যে সদস্যরা একের পর এক অপরাধ করে গেছেন, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। যাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের তা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। নূর খান লিটন বলেন, আমার বিশ্বাস খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। পুলিশি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। হয়তো এটার জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। আমরা চাইব পুলিশের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা, সেটাই তারা আমাদের দেবে। বিপদগ্রস্ত হলে আমরা তাদের কাছে যাব, তারা আমাদের সাহায্য করবে। পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে এভাবেই একটা সেতুবন্ধ তৈরি থাকতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর যারা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন তারা রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মতো কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে বেনজীর, হারুন, বিপ্লব, মনির, হাবিবের নামগুলো বারবার উঠে এসেছে। তারা যেভাবে দলবাজি করেছেন, মানুষের সঙ্গে যেসব আচরণ করেছেন- তা ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদেরও হার মানিয়েছিল। ভবিষ্যতে পুলিশের প্রত্যেকটি অপরাধের তদন্ত সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা উচিত উল্লেখ করে নূর খান বলেন, কেবল ক্লোজড করেই মনে করা হয় তাদের কার্যক্রম শেষ। কিছু পরে মানুষ ভুলে গেলে ওই অপরাধী পুলিশ সদস্যদের ভালো পদে পদায়ন করা হয়। এই সংস্কৃতি থেকে পুলিশকে বের হয়ে আসবে হবে। কারণ পুলিশ কখনো আওয়ামী লীগের না, বিএনপির না, তত্ত্¡াবধায়কেরও না। এটা হবে জনগণের পুলিশ। নূর খান বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে ওএসডি এবং সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছিল। অনেক পুলিশ অফিসার ছিলেন যারা পুলিশের পারপাস সার্ভ করেছেন। দলের পারপাস সার্ভ করেননি। তাদের অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। অনেককে যথাযথ যোগ্যতা থাকার পরও পদোন্নতিবঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতি করা হয়েছিল যাতে তারা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে চলে যান। ওইসব পুলিশ অফিসারদের বয়স যদি থাকে, তাহলে পুনর্বিবেচনা করে আইনের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা দরকার। কারণ আমাদের তো তাদের সার্ভিসটা নেওয়া দরকার।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
পুলিশ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে
জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধ তৈরির সংস্কৃতি গড়ে তোলা দরকার
-- নূর খান লিটন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর