সৌদি আরবের নানা গুণে সমৃদ্ধ সুস্বাদু সাম্মাম ফল এখন আবাদ হচ্ছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের নগরভাণ্ডা গ্রামের কৃষক বাক্কার মিয়ার আড়াই বিঘা জমিতে ফলছে এ সাম্মাম। শুধু বাক্কার মিয়া নন, এ ফল চাষে সফলতা পাওয়ায় অন্যরাও এতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
গত বছর সাম্মাম চাষ করে প্রচুর লাভবান হয়েছেন বাক্কার মিয়া। তাই এবারও এর আবাদ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি জানান, গত বছর সাম্মাম চাষে তাঁর খরচ হয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করে পেয়েছেন ৭ লাখ টাকা। প্রতি কেজি সাম্মাম বিক্রি করেছেন ১২০-১৫০ টাকায়। সাম্মাম চাষে বাক্কার মিয়ার সফলতা দেখে ওই গ্রামের অনেকেই এ ফল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তাঁরাও এবার সাম্মামের আবাদ করেছেন।
এদিকে বাজিতপুর কৃষি বিভাগের নগরভাণ্ডা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, সাম্মাম বর্ষাকালীন একটি ফসল। তবে শীতকালেও কিছু কিছু হয়। সাম্মাম দুই জাতের-রকমেলন ও হানিমেলন। হানিমেলন জাতটি মিষ্টি। তিনি জানান, বীজ বপনের ৩৫ দিনের মধ্যে এর ফল ধরে। পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ৭০ থেকে ৭৫ দিন। আর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, সাম্মাম মূলত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। এ ফলটি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। ফলটি দেখতে আমাদের দেশের বাঙ্গির মতো। এ ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টিকর উপাদান।
রয়েছে প্রচুর বেটা ক্যারোটিন যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। সাম্মাম ফলে ৯০ ভাগ পানি, যা শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখাসহ রয়েছে নানান গুণ।