পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এমকেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, মহাপরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। বন্ধ হবে নদী ভাঙন। উপকূল এলাকায় নতুন ভূমি জাগবে। দেশের আয়তন বাড়বে। শিল্পায়ন, কর্মসংস্থানসহ সার্বিক জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। উন্নত দেশের রূপকল্প ২০৪১ মাথায় রেখে এই মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মহাপরিকল্পনায় যুক্ত রয়েছে রূপকল্প-৪১ এর খাদ্য নিরাপত্তা কৌশল, অবকাঠামো ও শিল্প উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রণীত কাঠামো।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভা মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা পরিষদের সহযোগিতায় যুব উদ্যোক্তা তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জেলার অংশীদারদের কর্মপন্থা নির্ধারণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জুনের আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মেঘনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করা হবে। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসলে শরীয়তপুরের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে শরীয়তপুরে বড় বড় আবাসিক প্রকল্প হবে। শরীয়তপুর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ডিসি পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, এসময় গেস্ট অব অনার ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সাইফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন।
কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্য, যুব উদ্যোক্তাসহ ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন