ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি না হয় তার সকল দরজা বন্ধ করে দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। দেশের মানুষ নতুন করে আর কোনো স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ দেখতে চায় না। মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। ভোট ও ভাতের অধিকারের নিশ্চয়তা চায়। নিরাপত্তা ও ইজ্জত আব্রু নিয়ে থাকতে চায়। শঙ্কামুক্ত জীবন চায়। দুঃখজনক বাস্তবতা হলো জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এক ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি ঠিক। কিন্তু আরেক ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বেই দখল ও চাঁদাবাজিতে যেভাবে ওঠেপড়ে লেগেছে, তাতে সাধারণ মানুষ আবার শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সকল দায়িত্বশীলদের যোগ্য, দক্ষ ও কোরবানির নজরানা পেশের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।
শনিবার সকাল ৯টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বিজয়নগর আত-তরীক মিলনায়তনে নগর দক্ষিণ শুরা অধিবেশন '২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে শুরা অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন সাকী।
শুরা অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ আলতাফ হোসাইন, আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, ডা. শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, নূরুজ্জামান সরকার, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, আলহাজ নজরুল ইসলাম খোকন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামাল হোসাইন, শেখ আবু তাহের, মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন, আলহাজ ইসমাইল হোসেন, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা নাজিমুদ্দিন, গাজী আলী হায়দার, মাওলানা নাজির আহমদ শিবলী, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, গোলামুর রহমান আজম, তাজোয়ার হোসাইন, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত