মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি আমলে নেয়া হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ তাকে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালত এ আদেশ দেন।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি। গত ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার এ অনুমোদনের চিঠি হাতে পেয়ে আজ সোমবার বিচারিক আদালতে মামলা করলেন মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা