নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে জাতীয় সংসদে ভাষন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সেই ভাষণে সরকারের বিগত সময়ের কর্মকাণ্ডের প্রশংসাসহ আগামীর দিক নির্দেশনামূলক বিষয়গুলো তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার অধিবেশনের তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণকে প্রত্যাখান করেন ঝিনাইদাহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।
স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে তাহজীব বলেন, আমি রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রত্যাখান করছি। অবশ্যই মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে তথ্য আছে, সততা এবং বস্তুনিষ্ঠতা আছে, ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনাও আছে। তারপরেও মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ অপরিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ। এখানে বরাবরের মতোই ব্যর্থতা এবং সীমাবদ্ধতা প্রতিফলিত হয়নি। তাই ধন্যবাদ প্রস্তাবকে সমর্থন করতে পারছি না।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয় বই বিতরণে যতটা সক্ষমতা দেখিয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা সক্ষমতার সেই লক্ষণ দেখিনি। শিক্ষার সামগ্রিক মান না বাড়লেও বাজারে নোটবুকের সংখ্যা বেড়েছে এবং গোল্ডেন এ প্লাস দেয়াও হচ্ছে উদারভাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৬১৫১ জন এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। থানা, উপজেলায় রোগ পরীক্ষার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি থাকে, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যে সাহস এবং প্রত্যয় নিয়ে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছে, তা সত্যিকার অর্থে জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়ে সারা বিশ্বকে জানান দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে, বন্যায় আক্রান্ত হয়ে দরিদ্রতার ব্যবসা করে না। তবে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, পদ্মা সেতুতে আমরা যেমন করে পারি, ঢাকা-চট্টগ্রাম বা ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেনে কেন সেভাবে পারলাম না বা পারি না? দিনের পর দিন কাজ বিলম্বিত হলো, ব্যয় বাড়ল, জনগণের দুর্ভোগও বাড়ল।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ