প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। পুলিশকে জনগণের ভরসার জায়গা হতে হবে। তাদেরকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন তাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন হয়।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে 'পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একারণে আমরা ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এসব করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। বিএনপি-জামাত-শিবিরের সহিংসতা ও জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৬ জন বীর সদস্য জীবন দিয়েছেন। যার মধ্যে ছিল ২১ জন পুলিশ সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ মিশনে পুলিশের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুলিশের ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন করেছি। জনবল বৃদ্ধি, বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, প্রয়োজনীয় যানবাহন ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির যে ধারা আমরা সূচনা করেছি, তা অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব