দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নবম টাইগার্স ইউনিটের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সেনাবাহিনীকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলেয়ে একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আজ বিশ্ব পরিমন্ডলেও তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে নিজ বাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। সেবা ও কর্তব্যপরায়নতার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেশের মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুই বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তাফা কামাল ও বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল সদস্যকে স্মরণ করেন। একই সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা মেজর এম এ গণি, রেজিমেন্টের পথিকৃত জেনারেল এম এ জি ওসমানীর অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কর্নেল রেজিমেন্টের অভিষেক উপলক্ষে নতুন এই ইউনিটের প্রধানের হাতে পতাকা তুলে দেন। এরপর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নবম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সেন্টারে অবস্থিত অজানা শহীদ সমাধিতে পুুষ্পস্তবক অপর্ণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকসহ আগত তিন বাহিনীর প্রধান, সরকারের মন্ত্রী ও এমপি পরিষদের সদস্য, প্রাক্তন সেনা প্রধানসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব