প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকে যেমন তাক লাগিয়ে দিয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও এ দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে এজন্য দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। তিনি এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন’ বিষয়ক দক্ষিণ এশীয় স্পিকারদের শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে রবিবার প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ও সিপিইউ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার থিলাঙ্গা সুমাথিপলা, আফগানিস্তানের স্পিকার আব্দুল রউফ ইব্রাহিম, ভুটানের স্পিকার জিগমে জাংপো, মালদ্বীপের স্পিকার আব্দুল্লাহ মাসেহ মোহাম্মদ, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ প্রমুখ।
বক্তৃতার শুরুতেই এসডিজি অর্জনের ওপর দক্ষিণ এশীয় স্পিকারদের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন শেষে ‘ঢাকা ঘোষণা’ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। অংশগ্রহণকারী স্পিকাররা যে ঘোষণা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সেগুলোর প্রতিও পূর্ণ সমর্থন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের মান অনুযায়ী গতবছর বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম-আয়ের জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণে সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। এভাবেই আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। আমাদের এই পথযাত্রায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসডিজি বাস্তবায়নে পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য আমি দক্ষিণ এশিয়ার পার্লামেন্টগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি গড়ে তুলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী এ সময় এসডিজি’র পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের প্রয়োজনীয় বাজেট অনুমোদনের উদাত্ত্ব আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) পূরণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে অতি-দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিশ্বমন্দা সত্বেও গত ৭ বছর ধরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপর ছিল। গত এক দশকে আমাদের রপ্তানি আয় ৩ গুণের বেশি বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৮ গুণেরও কাছাকাছি।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব