২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ পানে সারাদেশে ২৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ আগস্ট ঢাকার ওষুধ আদালতে একতি মামলা হয়। তৎকালীন ড্রাগ সুপার শফিকুল ইসলাম মামলা করেন। সেই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রীড ফার্মার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা হয়।
আজ সোমবার রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল পানে ২৮ শিশু মৃত্যুর দায়ের করা মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ওষুধ আদালতের বিচারক কেএম আতোয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- রীড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক শিউলি রহমান, কোম্পানির পরিচালক আব্দুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক। রায় ঘোষণার সময় মিজানুর ও তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে বিচারক বলেন, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার 'অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে' অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, 'বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সঠিক নিয়ম মেনে জব্দ তালিকা ও পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেননি। মামলা দায়েরের সময় যেসব পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিল, তা না নেয়ায় তার অযোগ্যতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হয়।'
উল্লেখ্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে মিজানুর রহমান একই বছরের ১২ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে তার স্ত্রী শিউলি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১