খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা’ মানুষের সাংবিধানিক আধিকার। এ অধিকার নিশ্চতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত 'খাদ্য নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বশীল খাদ্যাভ্যাস : ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের ভূমিকা' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে উঠে বর্তমানে আমরা খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছি। পাশাপাশি কার্যোপযোগী একটি ‘খাদ্য নীতি’ প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, চাল আমাদের প্রধান খাদ্য। এক সময় চাল ছিল আমদানি নির্ভর, এখন আর তা আমদানি করতে হয় না। উপরন্ত আমরা রফতানি করছি।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’র ভাইস-চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট’র অধ্যাপক ড. খুরশীদ জাহান, ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সন্জীব বিশ্বাস সঞ্জয়, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালে প্রণীত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ৭৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায় না।
বিডি প্রতিদিন/ ৩০ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৮