গত বছরের ১লা সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন পদ্ধতি এসপিপিএ। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মালয়েশিয়ায় বৈঠক করেও শ্রমবাজারটি চালু করতে পারেননি। এরপর ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু'দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে নতুন করে কর্মী নেয়ার কিছু পদ্ধতি ঠিক হয়।
এদিকে, চলতি বছরের ১৪ মে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়া সফর করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রি মুহিউদ্দিন ইয়াসিন ও মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের অগ্রগতি হিসেবে ২৯ ও ৩০ মে মালয়েশিয়ায় দু'দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু না এবারও শ্রমিক প্রেরণে কোনো সমাধানে আসতে পারেনি দু'দেশ। আবার একটি নতুন তারিখ পায় বাংলাদেশ।
সেই তারিখ অনুযায়ী গতকাল বুধবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে আবারও অনুষ্ঠিত হয় দু'দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক।
বহুল প্রত্যাশিত সেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মালয়েশিয়া সরকার নিশ্চিত করে যে, স্থগিত হওয়া এসপিপিএ সিস্টেম বা এর সদৃশ্য কোনো সিস্টেম বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আর কখনো ব্যবহৃত হবে না। তবে বৈঠকে জি টু জি প্লাস সিস্টেমেই দুই সরকার কাজ করার বিষয়ে একমত হয়।
এদিকে, আগামী ২৪-২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভায় উপরোক্ত বিষয় গুলো পুনঃপর্যালোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত গৃহীত হবে বলে দু’পক্ষই একমত পোষণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন