চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে উপমহাদেশে প্রথম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। এসময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন”।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের এখন যে অবস্থা আমাদের এখন পথের মানুষের কথা ভাবতে হবে, বিপ্লব আমরা করবো, কিন্তু এখন মানুষ বাঁচাতে হবে। সংকট থেকে পরিত্রাণ করতে হবে, সংকট উত্তরণই এখন প্রধান কাজ। মানুষ কষ্টে আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত কষ্টে আছে। সারা দুনিয়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে, শুধু বাংলাদেশে নয়।’
“এই সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য আজকে আমাদের নেত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে- এটাই বিপ্লব। এখন উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই, মাছ ভাতটা থাকলেই তো হলো। সেটা আমাদের সার্ভাইবালের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এই বিপ্লবটাই এখন করতে হবে। সেটা সকলেরই দায়িত্ব আছে, সবাই দায়িত্ব পালন করবেন।”
স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘২০টি ক্যাটাগরিতে ৬৬২টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে। শুধু বাংলাদেশের গবেষকরা নন, ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্ডিয়া, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া থেকেও গবেষকরা শতাধিক পেপার জমা দিয়েছেন। এখান থেকে প্রায় ২৫০টি পেপার উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কনফারেন্স থেকে যে সকল সুপারিশমালা আসবে সেগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দফতর ও রিসার্চ সেল এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেওয়া হবে। যেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বির্নিমাণে কার্যকর পদক্ষেপ রাখতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আইইবি অডিটরিয়ামে কনফারেন্সের প্রথম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, দ্বিতীয় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের এআইটি'র বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. জয়শ্রী রায়। এ ছাড়া আলাদা আলাদা ১০টি ভেন্যুতে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ