স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা। এ সময় আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন দুই উপদেষ্টা।
রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের সই করা এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনেও চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় কোথাও কোনো অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নূরজাহান বেগম বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যারা দুর্নীতি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের শুধু আশ্বাস দিলেই হবে না, তাদের সুচিকিৎসায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসায় যত টাকা লাগবে সরকার তা বহন করবে। সরকারের সেই সক্ষমতা আছে। তাদের চিকিৎসায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, যেন তাদের দ্বিতীয়বার সরকারের কাছে আসতে না হয়।
উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আহতদের চিকিৎসাসেবাকে রুটিন কাজ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
তিনি আহতদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে আহত ব্যক্তিগণ তাদের চিকিৎসার অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করেন। তারা উন্নত চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ
