রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ভোগান্তিতেপিড়েছে যাত্রীরা। এ মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে করে গন্তব্য যাচ্ছে যাত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ার নেয়ার অভিযোগও রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে যানজট নিরসনের কাজ করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন।
মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সেতুর উপর গাড়ি বিকলসহ বিভিন্ন কারণে মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
অন্যদিকে যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গাড়িগুলো ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
চালক ও যাত্রীরা বলেন, দুই ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কের যানজটে আটকা পড়েছি। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করছেন।
বাস চালকরা বলেন, রাত থেকেই বিভিন্ন স্থানে যানজট। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করতে পারেনি। দুর্ভোগ নিয়েই আমাদের যেতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ