পদাবনতি হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে ধারের টাকা শোধ না করায় ‘তিরস্কার’ করা হয়েছে। বর্তমানে নিহার রঞ্জন হাওলাদার সিআইডিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত হিসেবে কর্মরত থাকাকালে নিহার রঞ্জন হাওলাদার ২০২০ ও ২০২১ সালের বিভিন্ন সময়ে আবু বাক্কার সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ধার নেন।
বেশির ভাগ সময় আবু বাক্করের ভাগ্নে খাত্তাব আলীকে দিয়ে সরাসরি কিংবা চেকের মাধ্যমে এসব টাকা নেন নিহার রঞ্জন। পরে তিনি ১৪ দফায় এবং বিকাশের মাধ্যমে মোট ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা দুইশ টাকা পরিশোধ করেন। সবশেষ গত ২০২৩ সালের মে মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে আবু বাক্কারের হিসাবে ১০ হাজার টাকা পাঠান এসপি নিহার রঞ্জন। বাকি ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।
নিহার রঞ্জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, লিখিত জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, অভিযোগকারী বা সাক্ষীর বক্তব্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে তাকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হলো।’
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালে এসপি থেকে পদাবনতি দিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত এসপি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত