প্রতিবারের মত এবারও বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ স্কুলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষের কোন উৎসব খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে বৈশাখী আয়োজন ছিল। শুধু ছিল না বৈশাখী আমেজ।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্কুল ব্যতীত জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনে অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের চিত্র ছিল একই। কারো কারো মতে বাহরাইনের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি ম্লান করে দিয়েছে সকল উৎসবকে। তবুও সুখ সমৃদ্ধির নতুন বার্তা নিয়ে আসা এ নববর্ষকে নানা আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করে নিলেন এক দল প্রবাসী বাংলাদেশি।
স্বল্প পরিসরে উদযাপন করেন পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। বাহরাইন বিএনপির উদ্যোগে প্রবাসে ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখতে দিনের ক্লান্তি আর কাজের অবসানে রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মানামায় এন্দালোজ গার্ডেনে মনোজ্ঞ উৎসবে মেতেছে সবাই।
আয়োজনের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার। এতে ছিল ইলিশ ভাজা, বেগুন ফ্রাই, আমের ভর্তাসহ তিন প্রকারের ভর্তা, মরিচ পোড়া, ডালের চপ, গরুর গোস্ত, মুরগির গোস্ত, মশুরির ডাল, পুদিনা পাতাসহ বিভিন্ন উপকরনের সালাদসহ রকমারি খাবারের অপূর্ব সমাহার।
রফিকুল ইসলাম আকন্দের তত্বাবধানে এতে অংশগ্রহণ করেন রুহুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, আরিফ খান ইমন, হুমায়ূন কবির আকন, সুমন মিয়া, দেলোয়ার হোসেন সোবহান, শাহ আলম, আমির হোসেন মিরু, মোঃ মামুন, সিদ্দিকুর রহমান, মিসেস আরিফ, মিসেস কবির, মোসাম্মাৎ ইসরাত জাহান জেরিন, মিসেস ছিদ্দিকুর রহমান, নোমান বাবুল ছাদেক, ওয়াহিদুজ্জামান ছান্টু, সুজন শাহ আলম ও সুজন ডালিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল