১ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:৪২

কানাডায় করোনায় আক্রান্ত ৮,৪৬৪ জন, মৃত ৯৫

কানাডা প্রতিনিধি

কানাডায় করোনায় আক্রান্ত ৮,৪৬৪ জন, মৃত ৯৫

ফাইল ছবি

কানাডায় এখন পর্যন্ত ৮৪৬৪ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৯৫ জন আর সেরে উঠেছেন ১১৭১জন। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রভিন্সে প্রবাসী বাঙালিদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  আয়তনের দিক থেকে কানাডা ৯ হাজার ৯শত ৮৫ মিলিয়ন কিলোমিটার হলেও জনসংখ্যা মাত্র ৩৬ মিলিয়ন। যার রয়েছে ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটোরিজ।  

কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মাল্টিকালচারিজমের ঘোষণা দেয়, যার ফলস্বরূপ   দেশটির জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ১৭ মিলিয়নের বেশি লোক অভিবাসী হয়ে দেশটিতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।  এরমধ্যে কানাডার বিভিন্ন প্রভিন্সে প্রবাসী বাঙালিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। 

সাম্প্রতিক এই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে কানাডার  টরন্টো এবং মন্ট্রিয়লে বেশ ক’জন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্তের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবার কেউ কেউ তা ‘করোনা’ বলে মনে করছেন না। তবে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হচ্ছেন টরেন্টোর বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ হাজী তুতিউর রহমান। স্থানীয় হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। অপরদিকে শরিফ আলী হাসপাতালে শয্যাশায়ী।

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ছাদ চৌধুরী সস্ত্রীক অসুস্থ অবস্থায় বাসায় আছেন। ডাক্তার বলেছেন, তিনি আশঙ্কা মুক্ত এবং আরোগ্যের পথে। আর মন্ট্রিয়লে আক্রান্ত নবী ভারডোন হাসপাতালে আর এবং তার স্ত্রী হাজেরা আইসিইউতে আছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে।  

অন্যদিকে, ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় দুই পরিবারের তিনজন করোনাভাইরাস পজেটিভ, তাদের পরিবারেরর সদস্যরাও আইসোলেশন রয়েছেন। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসে কানাডায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিলো ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এবং সর্বাধিক সংখ্যক ১৭ মৃত্যু ঘটেছে সেখানেই। এখন সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০% হ্রাস পেয়েছে।  

অন্যদিকে, আলবার্টায় আলবার্টার চীফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ডিনা হিন স এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৬৪ জন কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, আলবার্টায় সর্বমোট ৭৫৪ জন যাদের মধ্যে ৭৭ জন  স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন।       

আড্ডা প্রিয় প্রবাসী বাঙালিরা সংবরণ করছেন নিজেদেরকে। দূরে থাকছেন একে অপর থেকে, নিয়ন্ত্রণ করছেন সামাজিক দূরত্ব। বন্ধ করে দিয়েছেন সব ধরনের দাওয়াত এবং জনসমাগম, মেনে চলছেন বিশ্বসংস্থা কেন্দ্রিক সকল পরামর্শ। জীবন যখন প্রশ্নের মুখোমুখি এমন পরিস্থিতিতে ভয় পাওয়া খুব স্বাভাবিক। তবে সেখান থেকে জীবন নিয়ে কীভাবে ফেরা সম্ভব? সেটা চিন্তা করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা এখন খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। 

বিভিন্ন প্রভিন্সের বাংলাদেশি কমিউনিটি লিডারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ব্যক্তিগত ও  সংগঠন ভিত্তিক ইমেইল দিয়ে প্রবাসী বাঙালিদের করোনাভাইরাসের বিভিন্ন সতর্কতামূলক পরামর্শ দিচ্ছেন।  যদিও উচ্চ পর্যায় থেকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে, তারপরও বেঁচে থাকার লড়াই থাকতে হবে প্রত্যেকের ই ।এই মুহূর্তে, বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন প্রতিটি ব্যক্তিকেই নিজেকে সুস্থ রাখার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাকে সুস্থ রাখার দায় আমার থেকে আর কারো বেশি হতে পারে না। এখন পর্যন্তও এই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলছেন কানাডার প্রবাসী বাঙালিরা। 


বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর