বাংলাদেশ দূতাবাস (সিউল)-এর উদ্যোগে বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে স্মার্ট ফার্মিং প্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনার সোমবার (২৪ মে) আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী শামস আফরোজ, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), ড. মো. আবদুল জলিল, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই), ড. মো. খলিলুর রহমান, পরিচালক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই), ড. একে এম জাকির হোসেন, অধ্যাপক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড. এম নাজিম উদ্দিন, এসএসও, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) ও সমন্বয়ক, বাংলাদেশ জৈব কৃষি নেটওয়ার্ক মো. শাহাদাত হোসেন, বিএসসি, ইঞ্জি. (ইইই), রামগঞ্জ বায়োফ্লোক, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর এবং ইমামুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে স্মার্ট ফার্মিং সংশ্লিষ্ট চারটি ক্ষেত্রে তাদের উপস্থাপনা প্রদান করেন। তারা হলেন ড. মো. ওবায়দুল কালাম আজাদ, পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক, কাঙ্গওয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়া, বিকাশ চন্দ্র রায়, পিএইচডি ফেলো, পুকিয়ং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বুসান, দক্ষিণ কোরিয়া, মো. মহাববত আলী, বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলো (পিএইচডি ফেলো), সুনচন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সুনচন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মো. নাসিম রেজা, পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক, চুঙ্গনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়া।
কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ- এই তিনটি খাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়গুলো উপস্থাপকরা তাদের উপস্থাপনায় বিশদভাবে তুলে ধরেন। এই উন্নততর প্রযুক্তির সফল ও বাস্তব প্রয়োগ বাংলাদেশে কিভাবে করা যায় এ সকল বিষয়ে আলোচকরা মতামত প্রদান করেন।
এছাড়াও স্মার্ট ফার্মিং'র ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান, চ্যালঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এই উন্নত প্রযুক্তি ভিত্তিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/ অন্তরা কবির