২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৪৭

নিউইয়র্কের গভর্নর প্রার্থী ক্যাথি হোকুলকে সমর্থন বাংলাদেশিদের

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

নিউইয়র্কের গভর্নর প্রার্থী ক্যাথি হোকুলকে সমর্থন বাংলাদেশিদের

ক্যাথি হোকুলকে পরিচয় করিয়ে দেন ফাহাদ সোলায়মান। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

নিউইয়র্কের গভর্নর প্রার্থী ক্যাথি হোকুলের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমর্থন রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন গুলশান টেরেস মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সমাবেশে বিষয়টি উঠে আসে। এই সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের এশিয়ান বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান। আসছে নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির এই স্টেট গভর্নর পদে পুনরায় লড়ছেন ক্যাথি হোকুল। তিনি হচ্ছেন নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম নারী গভর্ণর। পুনরায় বিজয়ের অভিপ্রায়ে তিনি চষে বেড়াচ্ছেন। গড়ছেন নির্বাচনী প্রচার তহবিল। বাংলাদেশিদের এই সমাবেশেও ৫০ হাজার ডলারের মত সংগৃহীত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। 

সমাবেশে বক্তব্যকালে নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর ক্যাথি হোকুল বলেন, নিজের অধিকার-মর্যাদার স্বার্থে ব্যালট যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া জরুরী। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষী হামলা বন্ধের জন্যও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিগণকে বিজয়ী করা দরকার। এটাই সময়ের দাবি। 

তিনি আরও বলেন, অভিবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং নিউইয়র্কের উন্নয়নে অশেষ অবদান রাখছেন। বাংলাদেশিরাও ইতিমধ্যেই সমগ্র কম্যুনিটিতে নিজের অবস্থানকে উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা মেধাবি এবং নিষ্ঠাবান। গভর্নর উল্লেখ করেন, করোনাকালিন মহাসংকটে আমরা যেভাবে পরস্পরের সহযোগী ছিলাম, একই চেতনায় সামনের দিনেও সম্প্রীতির বন্ধনকে সুসংহত রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, সামাজিক নিরাপত্তা হচ্ছে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত। এই নিউইয়র্কে এখনও অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি পুনরায় বিজয়ী হলে সেগুলোর সমাধানের চেষ্টা করবো। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুগান্তকারি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

সংক্ষিপ্ত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সারেন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র মালিক ও চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ বলেন, ক্যাথি হোকুলকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি এ কারণে যে, তিনি অভিবাসী সমাজের দু:খ-কষ্টের সাথে পরিচিত। তিনি পুনরায় বিজয়ী হলে নিরাপদ কম্যুনিটি গড়তে সক্ষম হবেন। 

নিজের দীর্ঘ কর্মপ্রয়াসের আলোকে চ্যান্সেলর হানিপ উল্লেখ করেন, যারা বছরে ৪০ হাজার ডলারের বেশী আয় করতে সক্ষম হননি, আমার পরিচালনাধীন পিপল এ্যান্ড টেকে তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কিত কোর্স নিয়ে এখন লাখ ডলারের অধিক বেতনের চাকরি করছেন। সে সব মেধাবি বাংলাদেশীরা এই নিউইয়র্ক তথা গোটা আমেরিকার কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। 

ইমিগ্র্যান্ট এ্যাল্ডার হোমকেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ বলেন, ক্যাথি হোকুল তার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্ব গুণে সামনের দিনগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও বিজয়ী হবেন বলে আশা করছি। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সকলকে মনোনিবেশ করতে হবে।

‘বাংলাদেশিজ ফর কাথি হোকুল’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ক্যাসেল হিল মেডিকেল অব নিউইয়র্ক’র সিইও রাহাত মুক্তাদির, খ্যাতনামা চিকিৎসক চৌধুরী এস হাসান, গোল্ডেন এ্যাজ হোমকেয়ারের সিইও শাহনেওয়াজ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মইনুল ইসলাম, প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্টের সিইও বাবু খান,  শাহ গ্রæপের কো-ফাউন্ডার ফৌজিয়া জে চৌধুরী। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন পিরান ফ্যাশনের সিইও মোহাম্মদ আলম নমী, আমদানি প্রতিষ্ঠান ‘হক এ্যান্ড সন্স’র সিইও এ কে এম হক, নেট কেবল’র সিইও রহমান মালিক, ডিপলোমেট গ্রুপ ফ্যাশন ইনকের সিইও ফেড রকী, ফোর স্টার ইমপোর্ট এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের প্রেসিডেন্ট বিলাল চৌধুরী, পিয়ার ট্যাক্স সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট পিয়ার মোহাম্মদ, লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব প্রমুখ। আরো ছিলেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা মোর্শেদ আলম, সিটি মেয়রের ডেপুটি কমিশনার দিলীপ চৌহান। 

 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর