শিরোনাম
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শেরপুরে মানববন্ধন
- মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
- বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি
- নোয়াখালীতে অবৈধ গাড়ি পার্কিং উচ্ছেদে অভিযান, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর
- রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২০১৬ মামলা
- কোনো ধরনের ব্লেম নিতে রাজি নই : সিইসি
- হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই
- চীন সফর, মোদির সঙ্গে একই গাড়িতে চড়তে চেয়েছেন পুতিন
- দায়িত্ব নেওয়ার ৩ ম্যাচ পরেই বরখাস্ত টেন হ্যাগ
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল
- কিশোরগঞ্জে হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
- বিনিয়োগ সংস্থাগুলোর একীভূতকরণে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
- পানি ছেড়েছে ভারত, পাকিস্তানের ৯ জেলায় উচ্চ বন্যার সতর্কতা
- কোনো দলের পক্ষে নয়, সুষ্ঠু নির্বচান চায় যুক্তরাষ্ট্র
- রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
- ডাকসু নির্বাচন স্থগিত
- শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে: ট্রাম্প
- লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হুথিদের
- র্যালি বাতিল, খাল-নালা পরিষ্কার করবে বিএনপি
জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সহ-সভাপতি হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি ২০২২ সালে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশনের সদস্যগণ ২০২৩ সালের জন্য ক্রোয়েশিয়াকে কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ও জার্মানিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূত মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রোয়েশিয়ার নিকট কমিশনের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্যরা ২০২২ সালে কমিশনে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে। তারা ২০২২ সালে কমিশনের জন্য প্রণীত বিভিন্ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালীন সময়ে কমিশন তার ম্যান্ডেটের আওতায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। এ সময়ে কমিশনের কর্মপরিধি ভৌগলিকভাবে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমবাবের মত পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদান ও মধ্য এশিয়াতে কমিশনের কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কমিশনের পরামর্শমূলক কার্যাবলী আরো বেগবান হয়েছে। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা বাস্তবায়নে কমিশনের কাজে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কমিশনের অংশীদারিত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রতি কমিশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতার জন্য তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ক্রমান্বয়েবাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। বাংলাদেশের এই সফলতার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত মুহিত আগামি দিনগুলোতে কমিশনের কাজে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, পিসবিল্ডিং কমিশন (পিবিসি) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সংস্থা। এই সংস্থা সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণের জন্য কাজ করে, যাতে সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) থেকে নির্বাচিত সদস্যসহ ৩১ জন সদস্যের সমন্বয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পিবিসি। ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ পিবিসি’র সদস্য হিসেবে কাজ করছে। এর পূর্বে বাংলাদেশ ২০১২ সালে কমিশনের সভাপতি এবং ২০১৫ সালে কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর