শিরোনাম
- রাজস্থানের কোচ হিসেবে ফিরলেন কিংবদন্তি সাঙ্গাকারা
- ৬ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে সরকার
- জবি ছাত্রদল-ছাত্র অধিকারের সমন্বিত 'ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান' প্যানেল ঘোষণা
- ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
- রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২৭
- ডিবির অভিযানে আওয়ামী লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- ঝিনাইদহে প্রবাসী হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
- এখন থেকে অনলাইনেই পাওয়া যাবে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের অনাপত্তি সনদপত্র
- ‘সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন’
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে ফের পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ
- স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
- মাদারীপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, টহল জোরদার
- ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ ফেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
- নারায়ণগঞ্জ শহরে জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি
- সাভার ও ধামরাইয়ে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫
- ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
- রাজধানীর নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন
- হাসিনার মামলার রায় দিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে
- মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সহ-সভাপতি হলেন রাষ্ট্রদূত মুহিত
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি ২০২২ সালে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশনের সদস্যগণ ২০২৩ সালের জন্য ক্রোয়েশিয়াকে কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ও জার্মানিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূত মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রোয়েশিয়ার নিকট কমিশনের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্যরা ২০২২ সালে কমিশনে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে। তারা ২০২২ সালে কমিশনের জন্য প্রণীত বিভিন্ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালীন সময়ে কমিশন তার ম্যান্ডেটের আওতায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। এ সময়ে কমিশনের কর্মপরিধি ভৌগলিকভাবে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমবাবের মত পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদান ও মধ্য এশিয়াতে কমিশনের কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কমিশনের পরামর্শমূলক কার্যাবলী আরো বেগবান হয়েছে। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডা বাস্তবায়নে কমিশনের কাজে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কমিশনের অংশীদারিত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের সভাপতিত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রতি কমিশনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতার জন্য তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ক্রমান্বয়েবাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। বাংলাদেশের এই সফলতার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত মুহিত আগামি দিনগুলোতে কমিশনের কাজে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, পিসবিল্ডিং কমিশন (পিবিসি) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সংস্থা। এই সংস্থা সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণের জন্য কাজ করে, যাতে সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) থেকে নির্বাচিত সদস্যসহ ৩১ জন সদস্যের সমন্বয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পিবিসি। ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ পিবিসি’র সদস্য হিসেবে কাজ করছে। এর পূর্বে বাংলাদেশ ২০১২ সালে কমিশনের সভাপতি এবং ২০১৫ সালে কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর