যোগ্যতার পুরস্কার পেলেন ইমরুল হাসান। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হয়ে সহসভাপতির আসনে বসেন। এবার সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাতে ইমরুলকে আর ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি হতে হবে না। সিনিয়র সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন তিনি। এই পদে ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিতমুখ তরফদার রুহুল আমিন ছাড়াও আরেকজন মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তবে জমা দেন ইমরুল ও তরফদার। গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তরফদার প্রার্থিতা তুলে নেন। দেশের জনপ্রিয় করপোরেট দল বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি হিসেবে ফুটবলে ইমরুলের আগমন। নিজ দলের আকাশছোঁয়া সাফল্যের পাশাপাশি দেশের ফুটবল উন্নয়নে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। শুধু ফুটবল নয়, ইমরুল এখন ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ।
অনেকেই ৬০, ৭০, ৮০ ও ৯০ দশকে ফুটবলের নিবেদিত সংগঠকদের সঙ্গে ইমরুলের তুলনা করেন। অভিজ্ঞ সংগঠক বাফুফের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ‘ফুটবলে অনেকে প্রতিশ্রুতিতে চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে ইমরুল শুধু কাজই করে যাচ্ছেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা সত্যিই অন্যরকম। সহসভাপতি হিসেবে সফল ছিলেন। আমার বিশ্বাস সিনিয়র সহসভাপতির চেয়ারে বসে ফুটবল উন্নয়নে আরও নতুন করে ছক আঁকবেন। আমি বলব ইমরুলের তুলনা শুধু ইমরুলই।’
প্রশ্ন হচ্ছে যে তরফদার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ফুটবল উন্নয়নে এবার যোগ্যরাই থাকবে। সেজন্য প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে। তিনিই কি না নাম প্রত্যাহার করে নিলেন। অবশ্য তরফদারের এ নাটক নতুন নয়। ২০২০ সালে বাফুফের নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সভাপতি প্রার্থী হন। ব্যাপক প্রচারণা চালান তিনি। স্মার্ট ফুটবল অঙ্গন গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ শেষ মুহূর্তে তিনি নাম প্রত্যাহার করে সবাইকে অবাক করেন। এবার সালাউদ্দিন নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার পরই তরফদার শোডাউন করে ঘোষণা দেন সভাপতি পদে নির্বাচন করার। তাবিথ আউয়াল মনোনয়নপত্র কেনার পরই তিনি আড়ালে চলে যান। শেষ পর্যন্ত সভাপতির বদলে সিনিয়র সহসভাপতির মনোনয়ন কেনেন এবং জমাও দেন। তাও প্রত্যাহার করে নেন বিতর্কের জন্ম দিয়ে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি দিতে হয় নির্বাচন কমিশনারের কাছে। তরফদার তা জমা দেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদকের কাছে। যা পুরোপুরি অবৈধ। নির্বাচন কমিশন তার নাম বাতিল করে চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করেছে। সালাম মুর্শেদী গত চার মেয়াদে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পদত্যাগ করেন। ফুটবলের অতি চেনামুখ হলেও ইমরুল এবার নতুন দায়িত্বে বসবেন। সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন না হলেও সভাপতি, সহসভাপতি ও সদস্য পদে নির্বাচন হবে।