ক্রীড়াঙ্গনে একটি শুভদিন পার করেছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবল বাছাইপর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরেও চূড়ান্ত পর্বে উঠেছেন আফঈদারা। একই দিন জিম্বাবুয়ের হারারেতে তিন জাতির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ফাইনালে টাইগার যুবারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৩৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে। টুর্নামেন্টের আরেক দল জিম্বাবুয়ে। টাইগার যুবাদের চ্যাম্পিয়ন করতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেন অলরাউন্ডার রিজান হোসেন। ব্যাটিংয়ে ৯৫ রান ও বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেন।
অধিনায়ক আজিজুল হাকিম বিদায় নেন ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে। স্কোর বোর্ডে তখন লেখা ৩ উইকেটে ৬৫ রান। এরপরই ব্যাটিংয়ে আসেন সিমিং অলরাউন্ডার রিজান হোসেন। ক্রিজে এসে চতুর্থ উইকেটে কালাম সিদ্দিকীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন। রিজান ও কালাম দুজনে ২২.১ ওভারে যোগ করেন ১১৭ রান। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। কালাম ৬৫ রান করেন ৭৫ বলে ৬ চারে। দুর্ভাগ্য রিজানের। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে তিন জাতির টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। ৯৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটি খেলেন ৯৬ বলে। ইনিংসটিতে ১০টি চার থাকলেও ছিল না কোনো ছক্কা। দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান। আশ্চর্য হলেও সত্যি, টাইগার যুবাদের ইনিংসে ছক্কা ছিল মাত্র একটি। সেটা মারেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার। অথচ চার ছিল ২৬টি। যুবাদের ইনিংসে ওপেনার জাওয়াদ আবরার ৪২ বলে ২১ রান করেন ২ চার ও এক ছক্কায়। আরেক ওপেনার রিফাত বেগ ২২ বলে ১৬ রান করেন ৩ চারে। অধিনায়ক আজিজুল করেন ৭ রান। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান কালাম ও রিজানের বিদায়ের পর আবদুল্লাহ ও সাইয়ুম বশির ১৫ বলে যোগ করেন ২৪ রান। আবদুল্লাহ ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন মাত্র ২৯ বলে ৫ চারে। বশির ১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন ৮ বলে। স্বাগতিক দলের বান্ডিল এমবাথা ৫০ রানের খরচে নেন ২ উইকেট।
চ্যাম্পিয়ন হতে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টার্গেট ২৭০ রান। ওভারপ্রতি ৫.৪ রানের টার্গেটে দুই স্বাগতিক ওপেনার জরিক ভ্যান স্ক্যালউইক ও আদনান লাগাদিন ৮ ওভারে ৫৯ রানের ভিত দেন। সেই ভিতকে কাজে লাগিয়ে খেলছে স্বাগতিকরা। ওপেনার আদনান ৪০ রান করে আউট হন আল ফাহাদের বলে। অধিনায়ক মোহাম্মদ বুলবুলিয়া ৩১, জেসন রোলেস ৩৫ রান করেন। ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া যুবারা।