সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ভবিষ্যতের টিউব ট্রেন

যাত্রী ও পণ্যসম্ভারের পরিবহন নেটওয়ার্ক

যাত্রী ও পণ্যসম্ভারের পরিবহন নেটওয়ার্ক

কেমন ট্রেন আসবে ভবিষ্যতে? গতি হবে কেমন? প্রযুক্তির কল্যাণে মিলেছে সেসব প্রশ্নের উত্তর। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে আবিষ্কার করেছে এমন টিউব ট্রেন যা সব যানকে ছাড়িয়ে যাবে। বলা হচ্ছে, ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬৫০০ কিলোমিটার এবং নিউইয়র্ক থেকে লস এঞ্জেলস যেতে লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। বায়ুশূন্য টিউব ট্রান্সপোর্ট প্রযুক্তি বা Evacuated Tube Transport Technologies (ET3) নামে এক প্রতিষ্ঠান টিউব ট্রেন এর পরিকল্পনাটি করছে।

নিউইয়র্ক থেকে লস এঞ্জেলসের মোট দূরত্ব ৩৯৪০ কিলোমিটার। বিমান পথে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। আর টিউব ট্রেনে মাত্র ৪৫ মিনিটেই নির্বিঘ্নে পৌঁছানো সম্ভব। এর জন্য যাত্রীকে গুনতে হবে মাত্র ১০০ ডলার। এটাই শেষ নয়, নিউইয়র্ক থেকে বেইজিং যেতে লাগবে মাত্র ২ ঘণ্টা। বিশেষভাবে বানানো এই টিউব বায়ুশূন্য টিউবের ভিতর দিয়ে চলবে। প্রতিটি টিউব ১৬ ফিট দীর্ঘ, ৫ ফিট ব্যাসের যার ওজন হবে ১৮৩ কেজি বা ৪০০ পাউন্ড। প্রতি টিউবে সর্বোচ্চ ছয়জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হবে যার ওজন হবে সর্বোচ্চ ৩৬৭ কেজি বা ৮০০ পাউন্ড। যাত্রীদের মালামাল রাখার ব্যবস্থাও থাকবে টিউবে। শূন্য মাধ্যমে চুম্বক শক্তির ওপর নির্ভর করে টিউব ট্রেন চলবে। টিউবের চলার পথটি হবে সম্পূর্ণ বায়ুরোধী এবং ঘর্ষণমুক্ত। টিউব ট্রেন ঘণ্টায় ৪০০০ মাইল বা ৬৫০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারবে। তাই এটাকে বলা হচ্ছে স্পেস ট্রাভেল অন আর্থ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করে কমে আসবে জ্বালানি বা শক্তির প্রয়োগও। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, আধুনিক মেট্রো ট্রেনের তুলনায় ৩০ শতাংশ শক্তি সাশ্রয় এবং ২০ শতাংশ হালকা হবে টিউব ট্রেন।

সাধারণ পরিবহনের মতো টিউব ট্রেনে থাকবে না যাত্রাবিরতি কিংবা খাবারের ব্যবস্থা। তবে ভ্রমণ উপভোগে থাকবে টেলিভিশনের ব্যবস্থা। ET3 বিশ্বাস করে এই প্রযুক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে। যানজটবিহীন স্বল্প সময়ের ভ্রমণ ব্যবস্থা যাত্রীদের দেবে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী দিনে এই ধরনের যান অবশ্যই আসবে। মানুষ পরিবহন না করলেও মালামাল পরিবহনে এ রকম প্রযুক্তি যুগান্তকারী প্রভাব।

তথ্যসূত্র : ওয়ার্ল্ড টেক

সর্বশেষ খবর