বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চীন যুক্তরাষ্ট্র মাইক্রোচিপ যুদ্ধ

টেকনোলজি ডেস্ক

চীন যুক্তরাষ্ট্র মাইক্রোচিপ যুদ্ধ
দুনিয়াব্যাপী ৫০,০০০ কোটি ডলারের বাজার এই সেমিকন্ডাক্টরের- যা ২০৩০ সাল নাগাদ ফুলে-ফেঁপে দ্বিগুণ আকার নেবে।

এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে তেলের জন্য অনেক যুদ্ধ, কূটনৈতিক বিবাদ আর নানা দেশের জোট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটো অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে আরেকটি সম্পদের জন্য- সেটি হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপস। যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহার্য নানা জিনিসে শক্তি জোগায়। এই চিপস তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কোম্পানি, নানান দেশ। এদের জটিল নেটওয়ার্ক এমনভাবে একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত যে, সোজা কথায় এই সরবরাহ ব্যবস্থা বা ‘সাপ্লাই চেইনের’ নিয়ন্ত্রণ যার হাতে থাকবে, তার হাতেই উঠবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি হয়ে ওঠার চাবিকাঠি। এই প্রযুক্তির বেশির ভাগই আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। তবে সমস্যা হলো, এখন এই চিপ তৈরির প্রযুক্তি হাতে পেতে চাইছে চীন। পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে বেশি চিপ তৈরি হচ্ছে তাইওয়ানে। আর তাইওয়ান দ্বীপটিকে চীন তার নিজের অংশ বলে মনে করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের যত মাথা ব্যথা। ইতোমধ্যে কম্পিউটার চিপ নির্মাতা কোম্পানি এএসএমএল জানিয়েছে, এক সাবেক চীনা কর্মী তাদের প্রযুক্তিগত তথ্য চুরি করেছে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এই কোম্পানিটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ডাচ কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে। এএসএমএল বিশ্বে মাইক্রোচিপ সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটা যে মেশিন তৈরি করে বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তির চিপ বানানোর কাজে তা ব্যবহৃত হয়। চিপ বা সেমিকন্ডাক্টর বিশ্বের সব ধরনের কম্পিউটার, মোবাইল ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই চিপ নিয়ে এক রকম সম্মুখ যুদ্ধেই নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এএসএমএল তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, এক সাবেক চীনা কর্মী তাদের তথ্য বেহাত করেছে, এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে তাদের কোম্পানি। ২০২১ সালেও তারা একইরকম অভিযোগ তুলেছিল। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি ডাচ কোম্পানিটি। চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাসও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

সর্বশেষ খবর