চাঁদের বুকে বাড়ি নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে যাচ্ছে চীন। এ লক্ষ্যে দেশটি থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিষয়টি বিষদভাবে অনুসন্ধান করার কথা জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পদক্ষেপ চাঁদের বুকে বাসস্থান গড়তে বেইজিংয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে আরও দৃঢ় করে। ২০২০ সালের চীনা চন্দ্রাভিযানে এক অভূতপূর্ব ফলাফল দেখতে পায় চীন। অভিযানে ব্যবহৃত রোবট যানটিকে এর আগের যানগুলোর মতোই চীনের পৌরাণিক চন্দ্রদেবী চ্যাং-ইর নামে নামকরণ করা হয়। সে অনুযায়ী এর নাম হয় ‘চ্যাং-ই ৫’। এটি ছিল চীনের একমাত্র চালকবিহীন যান, যা প্রথম চাঁদের মাটির নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছে, ২০১৩ সালে প্রথম চাঁদে অবতরণকারী চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন মহাকাশচারীর অবতরণ করার কথা ভাবছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে চ্যাং-ই ৬, ৭ ও ৮ অভিযান চালু করবে। শেষ অভিযানটির মাধ্যমে চীন দীর্ঘমেয়াদি মানব বসতি স্থাপনের জন্য চাঁদে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সম্পদ অনুসন্ধান করবে। চ্যাং-ই ৮ অভিযানে পরিবেশ ও খনিজ উৎস নিয়ে পরীক্ষা চালানো হবে। এ ছাড়া থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মতো প্রযুক্তি চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপন করা যায় কি না সেটিও নির্ধারণ করবে। চীনের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কর্তৃপক্ষের একজন বিজ্ঞানী উ ওয়েরেনের উদ্ধৃতি দিয়ে চীনা ডেইলি এসব তথ্য জানিয়েছে। চীনের ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমির এক বিশেষজ্ঞের মতে, ২০২৮ সালের দিকে ‘চ্যাং-ই ৮’ অভিযানের সময় চাঁদের মাটি দিয়ে ইট তৈরির জন্য রোবট উৎক্ষেপণ করা হবে।