সিলেটের বিশ্বনাথে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি'র (ইউএনডিপি) বরাদ্দের নলকূপ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি’র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাছে লিখিত দিয়েছেন খোদ তার পরিষদের ১১ জন সদস্য। বৃহষ্পতিবার বিকেল ২টায় তারা এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগে প্রকাশ, গেল ২রা অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদে ইউএনডিপি’র ১৫টি নলকূপ বরাদ্দ আসে। বিষয়টি পরিষদের কোন সদস্যদের অবগত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কারো সাথে আলাপ-আলোচনা না করে ভূয়া রেজুলেশন তৈরি কওে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী আমাদের।
এর আগে গেল ১৪ অক্টোবর চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি’র বিরুদ্ধে লনকূপ বরাদ্দে অনিয়মের আরেকটি অভিযোগ ইউএনও বরাবরে লিখিত দেন উপজেলার জয়নগর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেন। তার অভিযোগ, প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিতদের না দিয়ে, তিনি (চেয়ারম্যান) সচ্চল ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী, প্রবাসী, শিক্ষক ও প্রভাবশালীদের অত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে নলকূপ বরাদ্দ দিয়েছেন।
খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডেও সদস্য মো. বখতিয়ার আহমদ বলেন, পরিষদের বরাদ্দ এলে সভার মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে রেজুলেশন করে তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু এবার নলকূপ বরাদ্দের বেলায় এর কিছুই করা হয়নি। কাউকে না জানিয়ে কেন ভূয়াঁ রেজুলেশনের মাধ্যমে তিনি (চেয়ারম্যান) এমনি করলেন তা আমাদের জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আমরা লিখিত দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত কোন অভিযোগই সত্য নয়। রেজুলেশনে সবারই স্বাক্ষর রয়েছে। তদন্তে তা প্রমাণিত হবে। নিয়ম মেনেই নলকূপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তদন্তে সঠিক না পেলে বাতিলের সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায় বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। সে আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া নেয়া হবে। ইতিমধ্যে নলকূপ বরাদ্দের সব তালিকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা যাচাই-বাচাই করছেন। তদন্তে যেগুলোতে নলকূপ বরাদ্দের শর্ত ব্যত্যয় হবে সেগুলো বাতিল করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম