শেয়ারের দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়েছে। স্বাভাবিক সার্কিট পদ্ধতিতে শেয়ারদর ১০ শতাংশ হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে। এই পদ্ধতি আরোপের খবরে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজার। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২৯৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৭ প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এমজেএল বাংলাদেশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৭১ টাকার। ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৩টির দাম বেড়েছে।
বিপরীতে দাম কমেছে ৭০টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ২২ লাখ টাকা।