দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গভর্ন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জন-আকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শিরোনামে জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, গত ১৫ বছরে তো আমরা নির্বাচন দেখেছি, এগুলো কি নির্বাচন ছিল? এক কথায়, না। নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আবার নতুন করে নির্বাচনব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তার দায়িত্ব কমিশনকে দেওয়া হয়েছে এবং সেটা যোগ্য হাতেই দেওয়া হয়েছে। বদিউল আলম মজুমদার সাহেব মানুষের ভোটাধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে যুগের পর যুগ কাজ করে যাচ্ছেন।
হাসান আরিফ বলেন, বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের, যারা সংসদে থাকবেন তাদের। সুতরাং দাবিটি তাদের কাছে করা দরকার। দাবিদাওয়াগুলো রাজনৈতিক দলের কাছে করতে হবে। তাদের কাছ থেকে রোডম্যাপ নিতে হবে। শত বছরে কেন স্থানীয় সরকার কাঠামো উন্নত দেশের মতো হচ্ছে না?
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ স্থানীয় সরকারের ব্যাপারে বেশ সচেতন। জেলা পরিষদ অনেক পুরনো একটি কাঠামো, চাইলেই এটি বাদ দেওয়া যাবে না। ঢাকা থেকে বেরিয়ে জেলা-উপজেলায় বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
এদিকে ধারণাপত্র উপস্থাপনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১১, ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত কয়েকটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ অনুচ্ছেদগুলোয় বলা হয়েছে, প্রশাসনের সব স্তরে নির্বাচিত স্থানীয় সরকার থাকবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট ক্ষমতা, বিশেষত আর্থিক ক্ষমতা দিতে হবে।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লিড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আল নোমানসহ আরও অনেকে।