টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে হঠাৎ বন্যা দেখা দিয়েছে। সোমবার থেকে বিরতিহীন বৃষ্টির কারনে জেলার ৭ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। নদী ও খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে গ্রামে। বৈরি আবহাওয়ার কারনে সমুদ্র উত্তাল থাকায় কর্মহীন রয়েছেন জেলেরাও। কক্সবাজারে আরো দুদিন অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার উখিয়া টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া, রামু সদর উপজেলার ৭০টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে এসব এলাকার এক লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত দূর্গত এলাকায় মানুষের কাছে কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি বলে জানায় বন্যা কবলিত মানুষজন। ঘর-বাড়িতে পানি ডুকে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র চলে গেছে।
পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী নদীর কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মাতামুহুরীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা। পানিবন্দি মানুষের জন্য দ্রুত সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানিয় জনপ্রতিনিধিরা।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী নদীর কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে ঢলের পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মাতামুহুরীর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য দ্রুত সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।