কক্সবাজারের চকরিয়ায় হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহতের ১১ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জামাল উদ্দিন (৫২) নামে এক দোকান মালিক। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জামাল উদ্দিন উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছরারকুল এলাকার কবির আহমদের ছেলে। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘী এলাকায় নিজের দোকানে ছিলেন জামাল উদ্দিন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একই ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকার শামশুদ্দিন ও তার ভাইসহ ১৭-১৮ জন সন্ত্রাসী দা-কিরিচ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জামাল উদ্দিন ও তার ছোট ভাই নুরুল ইসলামসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। জামাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামাল উদ্দিন।
জামাল উদ্দিনের ছোট ভাই ছৈয়দ আলম বলেন, উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদীঘি স্টেশনে আমাদের তিনটি দোকান রয়েছে। এসব দোকান দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছে ছায়রাখালী এলাকার সুলতাল আহমদের ছেলে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি শামশুদ্দিন ও তার ভাইয়েরা।
৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে শামশুদ্দিন ১৭-১৮ জন সস্ত্রাসী নিয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে আমার বড় ভাই জামাল উদ্দিনসহ পাঁচ ভাইকে দা-কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় লিখিত এজাহার দিলে মামলা রুজু করা হবে।