নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১০-১২টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও ২০টি মোটরসাইকেল। গতকাল মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ওসি মো. জুয়েল হোসেন বলেন, একটি সভাকরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা মোফাজ্জল হোসেন (৩৫), শাহ জাহান (৪৫), সাইফুল ইসলাম (৫৩), যুবদল নেতা জুয়েল (৪৫), জুয়েল রানা (৪২), ছাত্রদল নেতা শাহিন ফরাজী (২২), সাব্বির (২৩) সাদ্দাম হোসেন (২৮), প্রণয় ফরাজী (২২) নূর উদ্দীনের (৩৫) নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে মোফাজ্জলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীনের এক কর্মীকে মারধর করে সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল গ্রুপের লোকজন। এ ঘটনার জেরে গতকাল সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন জয়নুল গ্রুপের সমর্থকরা। সভা চলাকালে বকুল গ্রুপের সমর্থকরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের অতর্কিত হামলায় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়।
মনোহরদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল সাংবাদিকদের বলেন, এটা ইজারা নিয়ে গ গোল। গণি ফরাজী তার দলবল নিয়ে বাজারের ইজারাদারদের ওপর হামলা চালায়। শুকুন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গণি ফরাজী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা চলাকালে বকুল গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়।