চাঁদপুরে সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার আট উপজেলার ৪৭ হাজার ৬৮৪ জন কৃষকের ৪ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৬ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। বেশি ক্ষতি হয়েছে ফরিদগঞ্জ, হাজিগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলায়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে পান, আখ, শাকসবজি, রোপা আমন ও আউশ ধান। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারের কাছে প্রণোদনা চেয়েছেন অধিকাংশ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
কৃষক হানু মুন্সী ও ইসমাইল মিয়াজী জানান, ধারদেনা করে আমন ফসল, শাকসবজি আবাদ করেছিলাম। সব নষ্ট হয়ে গেছে। আখ গাছ লাল হয়ে পাতা মরে যাচ্ছে। কীভাবে আবার ফসল আবাদ করব ভেবে পাচ্ছি না। পরিবার ও সংসার নিয়ে কীভাবে চলব ভাবছি। ধার করা টাকা পরিশোধেরও চাপ রয়েছে। বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা দাবি করছি। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়াত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, টানা অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় চাঁদপুরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বেশির ভাগ জমির পান, আখ, শাকসবজি, রোপা আমন, বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে আনার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। রোপা আমন বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে, যাতে চাষিরা দ্রুত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। পরবর্তীতে বোরো, রবি ও সবজির ক্ষেত্রে প্রণোদনার আওতায় আসবেন কৃষক। আশা করছি তারা ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন।