নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রামীণ সড়কের বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ইনছান আকন্দ (৬০) নামের এক বৃদ্ধের। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাতে দুজনকে আটক দেখালেও পরদিন বুধবার সকালে একজনের কথা নিশ্চিত করেন ওসি মো. এনামুল হক।
পুরিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতি গ্রামের এলজিইডির বাস্তবায়নে একটি গ্রামীণ সড়কের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার বিএনপির এক ইউনিয়ন নেতা সুমন। এ নিয়ে একই এলাকার সাবেক মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াদুদ মেম্বার অনিয়মের অভিযোগ এনে কাজে বাধা দেন। শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। পরবর্তীতে এ ঘটনায় দুপক্ষের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সড়কে নিম্নমানের কাজ নিয়ে প্রতিবাদ করেন এক পক্ষ। এসব নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ প্রকাশ হয়। এক পর্যায়ে ঠিকাদার সুমনের বিরুদ্ধে ওয়াদুদ মেম্বার কেন্দুয়া থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন। মামলা চলমান থাকার পরও গত মঙ্গলবার বিকালে ওই পিজাহাতি সড়কের ওপরে দুই পক্ষের পুনরায় বিরোধ হয়। তর্ক বিতর্ক চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এর পর্যায়ে উভয় পক্ষ হামলায় জড়িয়ে পরে। ইটপাটকেল লাঠিসোটা নিয়ে এতে সৃষ্ট সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জনের মতো আহত হয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারের পক্ষের মৃত ফালু আকন্দের ছেলে আহত বৃদ্ধ ইনছান মিয়া মারা গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত একই গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে খাইরুজ্জামান ও মানফ ভূইয়ার ছেলে হাবিব ভূইয়াকে আটক করে।
কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুমন বিএনপির ইউনিয়ন নেতা। তার সাথে আওয়ামী লীগের নেতা ওয়াদুদ মেম্বারের বিরোধ ছিলো একটি সড়কের কাজ নিয়ে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় ইটের আঘাত পান বৃদ্ধ ইনছান। বুকে লাগায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হয়নি তবে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল