কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়ায় গোমতীর বাঁধ ভাঙায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ। ভাঙা অংশ দিয়ে এখনও পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে বুড়িচং উপজেলার সাথে, আদর্শ সদর উপজেলার একাংশ, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার উপজেলাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুড়িচং উপজেলার ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার বিকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের শুক্রবার সকাল ১০টায় তৈরি করা শিটে উল্লেখ করা হয়েছে,উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার পরিবার বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এক লক্ষ ৭০ হাজার। ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনী কয়েকটি গ্রামে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। সরেজমিন বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়ায় গোমতীর বাঁধ ভাঙা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এলাকা সংলগ্ন বাঁধে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে তাদের গবাদি পশু নিয়ে এসেছেন।
এদিকে, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শুকনো খাবার বিতরণ করলেও বিশুদ্ধ পানি এবং শৌচাগারের সংকট রয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, বুড়িচংসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। উদ্ধার কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসন সমন্বয় করছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ