গাজীপুরের টঙ্গীতে হঠাৎ বেড়েছে মাদক ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোটি কোটি টাকার মাদকের চালান আসছে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে। কৌশলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে। টেকনাফ থেকে ৮০ টাকা পিস ইয়াবা টঙ্গীতে আসলে হয় ২৫০-৩০০ টাকা।
বর্তমানে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে চলছে সংঘর্ষ। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। মাদক কারবারিদের উৎপাতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন জানা যায়, পুলিশি ও গাজীপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা না থাকায় মাদক কারবারিরা হয়ে উঠেছে সক্রিয়। ফলে হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা ইয়াবা ফেনসিডিলসহ বিভন্ন ধরনের মাদক। ছোট বড় সব বয়সীর হাতে পৌঁছে যাচ্ছে এই মরণনেশা মাদক। লন্ডভন্ড হচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবার।
টঙ্গীর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মাদক স্পটের মধ্যে অন্যতম নতুন বাজার ব্যাংকের মাঠ বস্তি, কেরানির টেক বস্তি, আমতলী, গোপালপুর, পাগাড়, মিরেশ পাড়া নদী বন্দর, আরিচপুর, টঙ্গী বাজার, হাজী মাজার বস্তি, সান্দার পাড়া বস্তি, এরশাদ নগরবস্তি, মিল গেট বস্তি, গাজীপুরা ব্যাংক পাড়া, দত্তপাড়া, দুমদাফাসহ বেশ কিছু স্পটে বিক্রি হচ্ছে মাদক। প্রশাসনের নাকের ডগায় আঙুল দিয়ে কৌশলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মানুনুর রশীদ বলেন, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সামাজিক এই ব্যাধিরোধে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
এ বিষয়ে গাজীপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী-পরিচালক শাহীন মাহমুদ বলেন, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হচ্ছে। এলাকার লোকজন আমাদের সহযোগিতা করলে আরও ভালো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই