পঞ্চগড়ে পৃথক অভিযানে সীমান্ত এলাকা থেকে ৯ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
জানা যায়, রবিবার ভোর সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সর্দারপাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে (বিজিবি-১৮ ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ) প্রায় এককেজি গাঁজা (মাদকদ্রব্য) সহ তেঁতুলিয়ার সাহেবজোত গ্রামের বাসিন্দা শ্রী রাজন (৩৩), শ্রী মুন্না রায় (২০), কলোনীপাড়া গ্রামের চঞ্চল ইসলাম (৩৪), তেলিপাড়া গ্রামের হাবিব মিয়া (৪০), উত্তর কাশিমগঞ্জ গ্রামের মহসিন আলী (২৯), সর্দারপাড়া গ্রামের রঞ্জু মিয়াকে (৩২) আটক করা হয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮ আইনে পৃথকভাবে জনপ্রতি ১ বছরের কারাদন্ড এবং ৫০০/- টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহবুবুল হাসান।
এদিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞোপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) এবং পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় ও ঘাগড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২৮ সেপ্টেম্বর ভিতরগড় বিওপি এলাকা থেকে ১ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। অপরদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর ভিতরগড় ও ঘাগড়া বিওপি এলাকা থেকে আরো ২ জন চিহ্নিত চোরাকারবারী ও মাদক পাচারকারীকে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার দায়ে আটক করা হয়। আটককৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার পাইকানীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাদকপাচারকারী আল আমিন (২৬), আবালুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাদক পাচারকারী ও চোরাচালানের লিডার জুলফিকার জুয়েল (৩০) ও বাঙ্গালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাদক পাচারকারী ও গরু চোরাকারবারী আলম মিয়া (২৮)। ৩ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় মাদক পাচার, গরু চোরাচালানসহ সীমান্তে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম