মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা মহাসড়ক ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন ও ২৮ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, রাতের আঁধারে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নির্জন স্থানে যানবাহন থামিয়ে অস্ত্রের মুখে চালকসহ যাত্রীদের জিম্মি করে বেশ কয়েকটি ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিল এই চক্র। দীর্ঘদিন ধরে এই ডাকাতি করে আসছিল তারা। পরে একটি ডাকাতি মামলার সূত্র ধরে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন থামিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকি সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের যশুরগাঁও এলাকায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের প্রাইভেটকার থামিয়ে তার সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করা হয়। পরদিন মামলা রুজু করে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত মো. কামাল পহলানকে (৪২) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. আলমগীর (৪৫), রাজিব হাওলাদার (৪৩), মো. মোখলেছ (২৩), মো. রবিন (২৩) ও মোহাম্মদ হেলালকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, ২৮ রাউন্ড গুলি এবং লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন, দুটি বিদেশি হ্যান্ডব্যাগ, দুটি ডেবিট কার্ড ও একটি ক্রেডিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ব্যবসায়ী তাজউদ্দিন ও চাইনিজ নাগরিক লিওর গাড়ি আটকে ডাকাতি করে চক্রের অন্তত ১০ স্বয়ংক্রিয় সদস্য। পরে গজারিয়া থানায় মামলা হলে গজারিয়া থেকে রাহাত মিয়া (২১) ও মো. শাহীনকে (২২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের কাছে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদনের প্রক্রিয়া চলছিল। এই ডাকাতির ঘটনায় অন্য কোনো মোটিভ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল