বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরব ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। শহীদ মিনার ও শাহবাগে নিজেও উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর বলা কথা এখানে তুলে ধরা হলো-
এ আন্দোলনে যুক্ত হলেন কেন?
শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে ছিলাম। সারা জীবন ন্যায্য দাবির সঙ্গেই থাকব। তবে এখন কোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা বিভাজন চাই না। সবার কাছে অনুরোধ, কেউ কোনো ধরনের বিভাজন করবেন না। দেশটা আমাদের সবার। আমরা সবাই এদেশের নাগরিক। দেশকে সুন্দর করার দায়িত্বও আমাদের সবার। বিভাজন যদি হয়, তাহলে কেন এত কষ্ট করলাম? রাহুল আনন্দের বাড়িতে আক্রমণ হলো, এটাও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
নতুন বাংলাদেশের কাছে কী প্রত্যাশা?
এ সরকার জনতার সরকার হোক। সর্বস্তরে দুর্নীতি বন্ধ হোক। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত বিচক্ষণ ও মেধাবী। তাদের প্রতি আমার গভীর বিশ্বাস আছে। তারা দেশকে সুন্দর করে সাজাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তারা অনেক কিছু করেছে। সফলও হয়েছে। আগামীতেও সফল হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে সরে দাঁড়ালেন কেন?
সংগঠনের পদ থেকে চলে আসা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তাই বলে সংগঠনের কোনো শিল্পীর সঙ্গে তো সম্পর্ক বাদ দিইনি। সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক আছে। এটা থাকবে।
সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
একেকজনের মতামত থাকতেই পারে। ভালো লাগা থাকতেই পারে। অবস্থান ভিন্ন হতে পারে, তবে কারও কাছ থেকে অন্ধত্ব আশা করি না। কোনোকিছুর প্রতি অন্ধত্ব ভালো না। শিল্পী, কবি, লেখকরা দেশের সম্পদ। তাদের সবাই ভালোবাসেন। সেভাবেই তাদের পথচলা উচিত, কাজ করা উচিত। কিন্তু অন্ধত্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়া ঠিক না। নৈতিকতা ধরে রাখতে হবে। লোভ সামলাতে হবে। অন্ধত্ব থেকে ফিরে আসার সুমতি হোক।
অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কী প্রত্যাশা?
এ সরকার সুন্দরভাবে দেশ চালাবে, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন, এটাই আশা করছি।