নায়ক কায়েস আরজু, অভিনয় নিয়ে দর্শকের নজরে এসেছেন বহু আগেই। কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। তবে একটু ধীরপায়ে এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু কেন? এ ছাড়াও নানা প্রসঙ্গে তার বলা কথা তুলে ধরা হলো-
২০০০ সালের প্রথম দিকে অভিনয়ে যাত্রা আপনার, চলচ্চিত্রের পথ কতটা মসৃণ মনে হয়?
আমার মনে হয় গত ১৫ বছর ধরে চলচ্চিত্রের সব কিছু মাইনাস হচ্ছে। শিল্পী, গল্প, টেকনিক্যাল সাইড সব কিছুই কেমন যেন ধীরলয়ে চলছে। আসলে আমি যে সময়টাতে চলচ্চিত্রে এসেছি তারপর থেকেই এই অঙ্গন কেমন জানি স্থবির হতে শুরু করেছে। আর সেই খারাপ সময় এখনো একেবারেই কাটছে না। তাই আমি বলব শুধু আমার জন্য নয়, কারও জন্যই চলচ্চিত্রের পথ মসৃণ নয়।
তাহলে কী আপনি ফিল্মি পলেটিক্সের শিকার?
হ্যাঁ, আমি তো আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ফিল্মি পলেটিক্সের শিকার। কারণ আমার অভিষেকের সিনেমা হাসিবুল ইসলাম মিজানের ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ মুক্তির ক্ষেত্রে প্রবল বাধার মুখে পড়েছিল। যেমন ছবিটি মুক্তির জন্য ২৬টি সিনেমা হল মুক্তির আগের দিন রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত হলেও মুক্তির দিন দেখা গেল ১৩টিতে নেমে এসেছে। এছাড়া প্রথম ছবিটি করার সময় নির্মাতা আমাকে চুক্তিবদ্ধ করে নেন যে, আমি যেন তার বাইরে অন্য কারও ছবিতে কাজ না করি। তাই সে সময় অনেক ভালো প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেভাবে আর ছবিতে কাজ করতে পারিনি। যদি পারতাম তাহলে আজ আমি হয়তো একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হতাম। এখন পর্যন্ত এই পলেটিক্সের সঙ্গে যুদ্ধ করেই এগুতে হচ্ছে আমাকে।
চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠার পথে আর কী বাধা ছিল?
আসলে আমার মতো নতুনদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেওয়ার মতো নির্মাতা, বাজেট, গল্প ও চরিত্র পাইনি। এসব বাধার কারণেই স্বপ্নের পথে তেমনভাবে এগোতে পারছি না।
কিন্তু শাকিব ছাড়া আর কারও ছবি সিনেমা হল মালিকরা নিতে চান না বলে নির্মাতারা বলছেন, এ ব্যাপারে কী বলবেন?
দেখুন, শাকিব খানকে নিয়ে যে বাজেট, গল্প বা চরিত্র দিয়ে ছবি নির্মিত হয় অন্যদের ক্ষেত্রে তা কিন্তু হয় না। আমাদের দিয়ে যে লো বাজেটের ছবি নির্মাণ করা হয় তা যদি শাকিবকে দিয়ে করানো হয় তা কি চলবে। আমাদের ক্ষেত্রে যদি এই বৈষম্য পরিহার করা হয় তাহলে অবশ্যই সিনেমা হল মালিকরা আমাদের ছবিও নেবেন। আসলে ফিল্মে ২০০৮ থেকে ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত একটি সিন্ডিকেট বিদ্যমান ছিল, যা এই জগতের যাত্রাপথকে বাধাগ্রস্ত করেছে, এটি কম বেশি এখনো আছে। সিন্ডিকেটের কারণে এই শিল্পে স্থবিরতা চলছে।
এখন আপনার ব্যস্ততা কেমন?
ছাত্র আন্দোলন শুরুর আগে ‘গবেট’ নামের একটি ছবিতে কাজ শুরু করার কথা ছিল আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। এছাড়া ‘যাযাবর’ ছবির কাজ অনেকটা বাকি আছে। একই সঙ্গে ‘মুক্তি’ ছবির ডাবিংও শুরু হবে এ মাসে। নতুন একটি ছবির ব্যাপারে আলাপ চলছে। আশা করি কাজ নিয়ে সহসা আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ব।