রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন ছিল বাংলাদেশের। গতকালের চতুর্থ দিনও নিজেদের করে নিয়েছে। দিনের সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সি মুশফিকুর রহিম। অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু আফসোস একটা রয়েই গেছে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের। সাবেক অধিনায়ক দারুণ ব্যাটিং করে যখন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার অপেক্ষায়, তখনই মোহাম্মদ আলীর হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট সরাতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানে গ্লাভসবন্দি হন। নামের পাশে তখন লেখা ১৯১। ৮৮ টেস্ট ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটা ১১তম সেঞ্চুরি। মুশফিকের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২১৯, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেঞ্চুরিটি করে মুশফিক পেছনে ফেলেছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। বাঁ-হাতি ওপেনারের সেঞ্চুরি ৭০ টেস্টে ১০টি। দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আরেক সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের, ৬২ টেস্টে ১২টি। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপের দিনে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাংলাদেশ। এক সেঞ্চুরি ও চার হাফসেঞ্চুরিতে ৫৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে দিন শেষ করছে স্বাগতিক পাকিস্তান। নাজমুল বাহিনী এগিয়ে আছে ৯৪ রানে। আজ পঞ্চম দিনের খেলা। মুশফিক তার ক্যারিয়ারে যখনই বড় ইনিংস খেলেছেন, তখনই বাংলাদেশ বড় স্কোর গড়েছে। যে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি, তাতে ৫০০-এর ওপরে স্কোর রয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পাঁচশোর্ধ্ব ইনিংস করেছেন ১২ বার। যাতে পাঁচবারই অবদান রেখেছেন মুশফিক। গতকাল বাংলাদেশের ৫৬৫ রান পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৬ উইকেটে ৫৫৫, খুলনাতে ২০১৫ সালে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। গতকাল ১৯১ রানের ইনিংসটি খেলেন ৩৪১ বলে ২২ চার ও এক ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ৫৬.০১। মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন সর্বোচ্চ ১৯৬ রান। মেহেদি মিরাজ করেন ৭৭ রান। আগের রেকর্ড ছিল ১৪৫ রানের। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান এই রেকর্ডটি গড়েছিলেন। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ৩৪৭ রান। ১৯৫৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজটাউনে রেকর্ডটি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেনিস অ্যাটকিনসন ও ক্লেয়ারমন্তে দেপেইয়াজা।