লেবাননে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর আহ্বান জানানো ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, ‘উত্তরে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে আনা এবং জয় না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই করব।’ বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি এক বৈঠকে ব্যাপক আলোচনার পর যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল প্রভাবশালী সাতটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো বলেছিল, ‘অবিলম্বে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করতে ইসরায়েল ও লেবানন সরকারসহ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও আশা করেছিলেন শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হবে। কিন্তু এখন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে সমস্যার আশু কোনো সমাধানের সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়েছে। বিশ্বনেতারা গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি লেবানন-হিজবুল্লাহ সংঘাত দ্রুত বাড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রায় ২ দশকের মধ্যে এ সময়ে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর প্রচ- লড়াই দুই দেশের সীমান্তে ইসরায়েলের নতুন স্থল অভিযান শুরুর আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাতিসংঘে ভাষণ দিতে নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি এখনো লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করার প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেননি। তবে তিনি সেনাবাহিনীকে লড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। এদিকে ইসরায়েল সরকারের কট্টরপন্থিরা বলছে, তাদের উচিত যে কোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা এবং হিজবুল্লাহ আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
নাগরিকদের লেবাননে যেতে ‘না’ করল যেসব দেশ : লেবাননে চলছে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ। এমন অবস্থায় দেশটিতে যেতে নিজ দেশের নাগরিকদের বারণ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে চীন, তুরস্ক, ইতালি, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়া। বুধবার লেবাননে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছে আরও ৭২ জন। এ পর্যন্ত এ সংখ্যা ৬২০ ছাড়িয়ে গেছে। লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ব্যাপক বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।