সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ দিয়েছে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি সম্প্রতি এমন প্রস্তাব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তবে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছরই সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি। গতকাল বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। তবে জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেয়েদের বয়স কেন বেশি সুপারিশ করা হয়েছে সে বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। সূত্র জানায়, পর্যালোচনা কমিটি চাকরির বয়স বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তার আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ পর্যন্ত কত বছর হবে তার জন্য সরকারের ঘোষণার অপেক্ষায় থাকতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত আসামাত্রই এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটাধারীদের আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা নির্ধারণের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ করতে একটি কমিটি গঠন করে সরকার। যার সদস্যসচিব হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে রাখা হয়। পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কমিটি সুপারিশ জমা দেয়।