ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, চারদিক দিয়ে হতাশ হয়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েল এখন জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে।
গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর একই সময়ে অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে গত ১০ দিন ধরে ভয়াবহ ‘সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। সেখানকার নাবলুস, জেনিন ও তুলকারেম শহরে ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবহ হামলায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
এ সম্পর্কে নাসের কানয়ানি নিজের অফিসিয়াল এক্সে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, ইসরায়েল প্রচণ্ড বিধ্বংসী মানসিকতা নিয়ে গত প্রায় এক বছর ধরে গাজা উপত্যকার সকল অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। দখলদার সেনারা এখন পশ্চিম তীরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং সেখানকার উত্তর অংশে বিশেষ করে নাবলুস ও জেনিনে নজিরবিহীন পাশবিকতা চালাচ্ছে।
নাসের কানয়ানি
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েল মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং এজন্য তারা ‘পোড়ামাটি’ নীতি অবলম্বন করছে।”
কানয়ানি তার এক্স পোস্টে আরো বলেন, কোনো কোনো রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ১০ দিনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর জেনিন ও নাবলুস থেকে এবং চারদিনের ভয়াবহ হামলার পর তুলকারেম থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নৈতিক ও আইনগত দায়বদ্ধতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ