ভারতের বাম রাজনৈতিক দল সিপিআইএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ হয়ে নয়া দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। নিউমোনিয়া হয়েছিল সিপিআইএম নেতার। ১৯ অগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। ৫ সেপ্টেম্বর তাকে ভেন্টিলেটরে দিতে হয়েছিল। বুধবার রাতে এইমস-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল।
গত আগস্টে তার চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিল। সেই কারণে তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রয়াণের পরও কলকাতায় আসতে পারেননি। এরপরই ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
১৯ অগস্ট থেকে বুকে সংক্রমণ নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। তারপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হয়নি। এইমসের আইসিইউ-তেই চলছিল চিকিৎসা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখছিলেন। গত মঙ্গলবার সিপিআইএমের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছিল, সীতারাম ইয়েচুরিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটজনক। বুধবার অবশ্য জানা গিয়েছিল, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
১৯৫২ সালে তৎকালীন মাদ্রাজে (চেন্নাই)-র এক তেলেগু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ছাত্র-জীবন থেকেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনবার জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় জেনেইউ-এর ছাত্র থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন সীতারাম। ওই বছরই তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সীতারাম।
গত ৯ বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। সূত্র: দ্য হিন্দু
বিডি প্রতিদিন/একেএ