সংবিধানে ভিন্ন ভাষাভাষী চাকমা, মারমা, সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি পর্যন্ত নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। বিগত সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামীর সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার ও চ্যালেঞ্জিং ইস্যু নিয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সেন্টার ফর গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. মো. শরিফুল আলম। সভায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সংবিধানে বিভিন্ন ভাষাভাষী, চাকমা, মারমা, সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি পর্যন্ত নেই। তাই সংবিধান সংস্কার নাকি পুনর্লিখন করা হবে সেটা ঠিক করতে হবে। ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, কয়েক দফা সংশোধন করে সংবিধানকে সংশোধন অযোগ্য করা হয়েছে। এখন ঠিক করতে হবে রাষ্ট্রপতিশাসিত নাকি প্রধানমন্ত্রীশাসিত ব্যবস্থা থাকবে। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে বিপ্লবকে ধারণ করে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান সংস্কারে জনগণের অভিপ্রায়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বর্তমান সংবিধান জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন, অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, রাজিকুজ্জামান রতন, ড. তানভীর রাজিব, অধ্যাপক সাবের আহমেদ চৌধুরী, ইকতেদার আহমেদ, হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী, ড. শামীম হামিদি, অধ্যাপক আ: বাসেত, বজলুর রহমান প্রমুখ।