বাবা কৃষক। মা গৃহিণী। সহায়-সম্বল বলতে বাড়ির ভিটা ছাড়া লাগোয়া এক টুকরো জমি। দারিদ্র্যের সঙ্গে নিত্য লড়াই করে স্বপ্ন দেখে গেছেন আতিকা বুশরা।
চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর অদম্য ইচ্ছা, অধ্যবসায় আর দুঃসময়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তা তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আতিকার ইচ্ছা ভবিষ্যতে সিএ করে দেশে বা দেশের বাইরে ভালো চাকরি করা।
২০২১ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন আতিকা।
আর্থিক সংগতি না থাকলেও আতিকার প্রবল ইচ্ছার কাছে হার মেনে তাঁর অভিভাবকরা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের আর্থিক সহায়তার ভর্তি করান ঢাকার হলিক্রস কলেজে। কিন্তু খরচ জোগাতে না পারায় এক পর্যায়ে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় তাঁর লেখাপড়া। এমন দুর্দিনে আতিকার পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। তাঁকে প্রতি মাসে দেওয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি।
২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন আতিকা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ধরা দেয় হাতের মুঠোয়।
তাঁর এই সাফল্যের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আতিকা বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ দুঃসময়ে আমার পাশে ছিল, আশা করি আগামীর স্বপ্নপূরণে তারা আমাকে সহযোগিতা করবে।’ আতিকার ইচ্ছা, লেখাপড়া শেষ করে দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার পাশাপাশি নিজের গ্রামের জন্য কিছু করা।