লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েলকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম করার অভিযোগ উঠেছে র্যাব-১১-এর বিরুদ্ধে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় যুবদল নেতা ইকবাল মাহমুদ জুয়েলের বণিকপাড়ার বাসভবনে পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ যুবদল নেতার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার দুই মেয়ে, এক ছেলে, পিতা হাজি নুরুল ইসলাম ও ভাই ইয়াদ মাহমুদ সোহেল ও কামরুজ্জামান পলাশসহ পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে মনোয়ারা বেগম বলেন, '১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে লোক মারফত জানতে পারি আমার স্বামী ইকবাল মাহমুদ জুয়েলকে শহরের চকবাজার মসজিদের সামনে র্যাব ১১ গুলি করে হত্যা করে লাশ তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামীর পায়ের জুতা, রক্তমাখা মাথার মগজ পড়ে রয়েছে। এ সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে জানতে পারি একই দিন সকালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুকে তার বাসভবনে ঢুকে র্যাব ১১ গুলি করে আহত ও তাদের ব্যবহৃত দুটি গাড়িতে পেট্রল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ খবর পেয়ে আমার স্বামীসহ ১৫-২০ জন লোক সাহাবুদ্দিন সাবুর বাসভবনে যাওয়ার পথে র্যাব-১১ অতর্কিত গুলি চালায়। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেলে র্যাব সদস্যরা তার লাশ নিয়ে চলে যায়।' এ ঘটনায় র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. ক. তারেক সাঈদসহ তার সহযোগীদের দায়ী করে সরকারের কাছে তাদের বিচার ও ইকবাল মাহমুদ জুয়েলের লাশ ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলের মেয়ে তাছিয়া মাহমুদ নাহারী বলেন, 'আমাদের দেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু এখানে জনগণের জন্য কিছুই করা হয় না। বরং জনগণকে খুন করা হয়, গুম করা হয়। তাও যারা জনগণের নিরাপত্তা দেবে তাদের হাতেই এসব হচ্ছে।' 'আমরা এ গণতন্ত্র চাই না' বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে র্যাবের দফায় দফায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। এ সময় যুবদল নেতা ইকবাল মাহমুদ জুয়েল র্যাবের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও তার লাশ পাওয়া যায়নি।