কয়েকজন একসঙ্গে শরীর চুলকাচ্ছে, এ সময় শামীমা তাদের উদ্দেশে বলেন, পাথরঘাটায় থাকবা আর গা (শরীর) চুলকাবানা, তা কি হয়? উপস্থিত সবাই একসঙ্গে বলে উঠল- এটা তো ভাবি নাই। এ সময় সজল নামে এক যুবক বলেন, আর পেটের ব্যথায় মাটিতে গড়াগড়ি খাবে না, তা তো হবে না। উপস্থিত সবাই বলেন, এটা তো ভাবি নাই। সুমন নামে আরেকজন বলেন, পাথরঘাটায় থাকবা আর মাসে মাসে ঘরবাড়ি ভাঙবে না, তা তো হবে না। এভাবেই নাটকের মাধ্যমে উপকূলের লবণাক্ত, সুপেয় পানির অভাব আর জলবায়ু পরিবর্তনে ঘরহারা মানুষের চিত্র তুলে ধরেন একদল কিশোর।
উপকূলবর্তী উপজেলা পাথরঘাটা। পশ্চিমে বলেশ্বর, পূর্বে বিষখালী নদী আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। যেখানে চারদিকে পানি। কথায় বলে, ‘পানির এলাকায় পানি নেই’। এখানে এটাই বাস্তবতা। কারণ, চারদিকে পানি থইথই করলেও আছে সুপেয় পানির অভাব। তাই নিরাপদ পানির গুরুত্ব এবং লবণ পানির ক্ষতিকর দিক জনগণের মাঝে তুলে ধরতে মঞ্চায়ন হয় নাটক ‘লবণ জলে জীবন জ্বলে’। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, ‘সুপেয় পানি’। ফলে আছে শারীরিক ঝুঁকি, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, পাথরঘাটায় নিরাপদ পানির সংকট আদিকাল থেকেই। আমরা উপকূলের বড় বড় পুকুর-দিঘিগুলো সংরক্ষণে কঠোর নজরদারি রেখেছি এবং পানি নিরাপদ করতে ট্যাবলেটসহ নিরাপদ পানি সরবরাহ করছি।